নিজস্ব প্রতিবেদক,হাওড়া
এদিন প্রায় ২০০ স্কুল ও মাদ্রাসার করণিকরা এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন, মিছিল করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে যান এবং জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শান্তনু সিনহা এর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, অনলাইনে শিক্ষকদের ট্রান্সফার ব্যবস্থা চালু হলেও স্কুল ও মাদ্রাসা করণিকদের সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, এই করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অধিকাংশ স্কুলে উপস্থিত না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে, নোডাল শিক্ষকরা অনুপস্থিত থাকায় কন্যাশ্রী-শিক্ষাশ্রী-সবুজ সাথী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে, নবম-একাদশ শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন, মিড-ডে-মিল কর্মসূচী বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন শুধুমাত্র স্কুলের অফিস স্টাফদের দিয়ে এই সকল গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সামগ্রিক চাপ এসে পড়ছে করণিকদের উপর।
এই পরিস্থিতিতে করণিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিষেবা দিয়ে চলেছে, তবুও সরকার করণিকদের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। COVID warriors সুবিধা, ট্রান্সফারের সুবিধা,প্রমোশনের সুবিধা ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কন্যাশ্রীর মতো সারা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত প্রকল্পের প্রকৃত রূপকার হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের স্বার্থ মানবিকতার সাথে দেখা হচ্ছেনা। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাঁদের স্মারকলিপি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।