রাজ্যের সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে চলছে, "আমাদের পাড়া -আমাদের সমাধান" ও দুয়ারে সরকার শীর্ষক সরকারি কর্মসূচি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামের মানুষ নিজেরাই সরকারি আধিকারিকদের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানাবেন এবং তার থেকে গ্রামীণ উন্নয়নের রুপরেখা তৈরি হবে এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে তা শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে এই কর্মসূচি থেকে।
পঞ্চায়েতের তিনটি বুথকে নিয়ে এক একটি কর্মসূচি চলছে। গ্রামীন উন্নয়নের জন্য বুথ প্রতি দশ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাওড়ার শ্যামপুর ২ নম্বর ব্লকের বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁপাবাড় প্রাইমারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হল এই কর্মসূচি। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী মোল্লা, শ্যামপুর দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নদেবাসী জানা। উপস্থিত ছিলেন শ্যামপুর দুই ব্লকের বি ডি ও সঞ্জু গুহ মজুমদার ও বাছরি পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামসুন্দর মেটিয়া।
প্রথম দিকে লোডশেডিংয়ের জন্য কর্মসূচিতে তাল কাটে।পরে জেনারেটর দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। হবু মায়েদের এবং অপুষ্টি জনিত শিশুদের হাতে পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে কর্মসূচির শুরু হয়।এ পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল অনুষ্ঠান।সাময়িক বিরতিতে অনুষ্ঠান স্থল থেকে নেমে আসেন বি ডি ও সঞ্জু গুহ মজুমদার।
হ
ঠাৎ দেখা যায় বিশেষ শারিরীক চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি সত্তরোর্ধ্ব সেখ হাবিবুর রহমান দু হাতে আপ্রাণ হুইলচেয়ার টানছেন।বিষয়টি দেখে তাঁর কাছে চলে যান বি ডি ও ,তিনি নিজেই হুইলচেয়ার ঠেলে হাবিবুর সাহেবকে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছে দেন।যা দেখে প্রথমে চমকে গেলে ও পরে ভূয়সী প্রশংসা করেন কর্মসূচিতে আসা লোকজন।যদিও বিষয়টি নিয়ে বি ডি ও তেমন কোন কিছু বলেন নি।তবে হবিবুর সাহেব জেনে হতবাক।